পাড়ার সদ্য বিধবা সুন্দরী মহিলাটা তার ২ সন্তান (১ ছেলে ও ১ মেয়ে) নিয়ে থাকে। মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত সাধারণ পরিবার। স্বামীর অবর্তমানে সংসার চালাতে মহিলা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। যা বেতন পায়, তা দিয়েই চলে যায় ৪ জনের সংসার। বাড়িতে ছেলেমেয়ে ছাড়াও পাহাড়াদার হিসাবে একটা কুকুর আছে। সে’ও পরিবারেরই সদস্য।
ছেলেটা ক্লাস সেভেনে পড়ে। মেধাবী ছাত্র। ক্লাসে ১,২,৩ এর মধ্যেই তার সিরিয়াল। এক গৃষ্মের রাতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ছেলেটা। ডাক্তার, হাসাপতাল সব দেখা শেষে বিদায় ই নিয়ে নিল ছেলেটা। স্বামী হাড়ানোর শোকের মতই প্রচন্ড শোকাহত হলেন বিধবা। আবার কিছুদিন কাঁদলেন, তারপর আস্তে আস্তে আবার সব ঠিক হয়ে গেল। আবার চাকরি, আবার সংসার।
ছেলেটা মারা গেল কয়েক বছর হয়। বিধবার মেয়েটা এবার মাত্র ইন্টার পরীক্ষা দিল, ফলাফলের অপেক্ষায়। সম্পর্কে মামা হয়, এমন এক আত্নীয়ের হাত ধরে পালিয়ে গেল। লেগে গেল পারিবারিক গেঞ্জাম। মামা চাচা দরবার শেষে আর ফিরে এল না সে। হয়ত স্বামীর সাথেই তার জুটিটা বেশি দৃঢ়। বিধবা আবার শোকাহত হলেন। আবার কিছুদিন কাঁদলেন, তারপর আস্তে আস্তে আবার সব ঠিক হয়ে গেল। আবার চাকরি, আবার সংসার।
এবার দুজনের সংসার। বিধবা আর সেই কুকুর। বিধবাকে পাহারা’ই দিত সে কুকুর। এক রাতে চোরেরা বল্লম দিয়ে কুকুরটাকে আহত করে। বিধবা হাসপাতালে হাসপাতালে দৌড়ালেন আবার! কিন্তু কুকুরটা বাঁচল না।
এর কিছুদিন পর বিধবা মহিলাটা পাগল হয়ে গেল।
পাড়ার সবাই জানলোঃ কুকুর মারা যাওয়ার দূক্ষ সহ্য করতে না পেরে বিধবা মহিলাটা পাগল হয়ে গিয়েছে।
সাংবাদিকরা জানালেনঃ কুকুরের সাথে পরকিয়া ছিল বিধবার!
–
লাবিব ইত্তিহাদুল
Image: David Shankbone CC BY 2.0